গুজরাটে ছাগল বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু


chandpurnews24 প্রকাশের সময় : জুন ১৬, ২০২৩, ১:২১ অপরাহ্ন /
গুজরাটে ছাগল বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের জেরে ভারতের গুজরাটের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারী বর্ষণ হয়েছে। এ ঘটনায় রাজ্যের ভাবনগর জেলায় প্লাবিত উপত্যকায় আটকে থাকা ছাগল বাঁচাতে গিয়ে বাবা ও ছেলে প্রাণ হারিয়েছেন।

শুক্রবার (১৬ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আর এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সৃষ্ট বন্যায় আটকে পড়া ছাগল বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন।

স্থানীয় রাজস্ব কর্মকর্তা এস এন ভালা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাতের পর সিহোর শহরের কাছে ভান্ডার গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি গিরিখাতে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করে।
তিনি বলেন, আচমকা পানির প্রবাহের কারণে এক পাল ছাগল ওই খাদে আটকে যায়। এসব গবাদি পশুদের বাঁচাতে ৫৫ বছর বয়সী রামজি পারমার ও তার ছেলে রাকেশ পারমার (২২) উপত্যকায় ঢুকে পড়ে। তবে পানির স্রোতে তারা ভেসে যায়। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
 
গিরিখাতে আটকে পড়া ২২টি ছাগল এবং একটি ভেড়াও সেসময় মারা যায়বলে জানান এস এন ভালা।
এছাড়া গুজরাট রাজ্যে অন্য কোথাও ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 
 
কালেক্টর অমিত অরোরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হচ্ছে কচ্ছ জেলা। তবে সেখানেও মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
 
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে ভারত এবং পাকিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে প্রায় দেড় লাখ লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। যার মধ্যে পাকিস্তানেই এককভাবে ৮২ হাজার লোককে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। ভারতেও প্রায় ৭২ হাজার জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছিল।