দেশে রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন


chandpurnews24 প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৬, ২০২৩, ৬:২০ অপরাহ্ন /
দেশে রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন

বিগত ৬২ বছরের মধ্যে দেশে সর্বোচ্চ পরিমাণ লবণ উৎপাদন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেশে উৎপাদিত লবণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় লবণনীতি ২০২২ অনুযায়ী, ১৯৬১ সাল থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের আওতাধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সব উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য লবণ চাষিদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছে বিসিক।
ফলে, মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) পর্যন্ত ১০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। যা গত ৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিগত বছরে লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মে.টন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি লবণ মৌসুমে মোট লবণ চাষ করা জমির পরিমাণ ছিলো ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, যা গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। আর চলতি মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, যা গত বছর ছিলো ৩৭ হাজার ২৩১ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লবণ আমদানি না করে দেশে লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমে একমাস আগেই লবণ চাষিদেরকে মাঠে নামানো হয়। গত মৌসুমে ৩০ নভেম্বর ২০২১ থেকে লবণ উৎপাদন শুরু হলেও চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন শুরু করা হয় ২৪ অক্টোবর ২০২২ থেকে। লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদী (১ বছর), মধ্যমেয়াদী (১-৫ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদী (৫ বছরের উর্ধ্বে) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদের অগ্রিম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধকরণ ও প্রশিক্ষণ, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং সম্প্রসারণ, সহজ শর্তে লবণ চাষিদের ঋণ, একরপ্রতি লবণ উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, লবণ চাষের জমির লীজ মূল্য নির্ধারণ, লবণ চাষের জমি সংরক্ষণ, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনে প্রদর্শনী ও উৎপাদিত লবণের মান নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সহায়তা, জরিপ পরিচালনা, লবণ চাষ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং লবণ উৎপাদন, মজুত ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
চলতি লবণ মৌসুমে এখনও লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ মে.টনের অধিক লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।