বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, জানুয়ারী প্রথম দিকে দ্বাদশ জাতয়ি সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু,অবাধ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন বানচাল করার জন্য ইতিমধ্যে দেশীয় ও আর জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারা নির্বাচন বানচলের হুংকার দেয়। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবে হুমকি দেয়। আমরা জানি বিএনপির সেই হেডান কতটুকু। আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপি নাকি রাজপথ দখলে নিবে। ২৮ তারিখ ঢাকার রাজপথ দখলে থাকবে আওয়ামীলীগের। আসেন ২৮ অক্টোবর খেলা হবে। দেখ হবে রাজপথে। আওয়ামীলীগ রাজপথের দল,আওয়ামীলীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
শনিবার (২১ অক্টোবর) মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী মোজাদ্দেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা রাজপথের মানুষ,শেখ হাসিনা যখন যে নির্দেশ দেন আমরা আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সে নির্দেশ মালনে রাজপথে থাকি। আর বিএনপিকে রাজপথে খুঁজে পাওয়া যানা। তারা আবার আওয়ামীলীগকে আন্দোলনের হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন,শান্তির দূত হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। বার বার দরকার শেখ হাসিনার সরকার। দেশের উন্নয়নে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনাকে পূনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াত নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট ও দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের ছাড় দিয়ে ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী নির্বাচন পযন্ত মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। যে কোন মূল্যে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই দেশকে অবাধ,সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ।
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বেগম (খালেদা) জিয়া দেশ চালাবেন বলে দম্ভোক্তি করেছিল বিএনপি। ১০ ডিসেম্বরের মতো ২৮ অক্টোবরও তাদের একই পরিণতি হবে। শুধু চিন্তা করছি, কোথায় গিয়ে খাদে পড়বে। ১০ ডিসেম্বর গোলাপবাগের গরুর হাটের খাদে পড়েছিল, এটা কোথায় যায় সেটা দেখার অপেক্ষায়।’
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনি মুলসমানদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফিলিস্তিনে মুসলমানদের পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন। এসময় তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের উপর যে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বর্বরোচিত হামলা মেনে নেওয়া যায়না। আমরা এ বর্বরোচিত হামলা বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনে ইসরাইলের হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনিদের জন্য মসজিদে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সাথে ফিলিস্তিনি মুলসমানদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে গতকাল বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলার ১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য মায়া চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু।
১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান কাজল ও মতলব উত্তর উপজেলা যুবলীগের সদস্য রেজোয়ান খন্দকারের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ন সম্পাদক গাজী আইয়ূব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, গাজী ইলিয়াছুর রহমান, মোঃ শাহজাহান প্রধান,মতলব উত্তর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভিন শরীফ, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমল হোসেন চৌধুরী,
১১নং পশ্চিম ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মস্তফা,সহ-সভাপতি মোতালেব সরকার, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুল হক সেন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রনি, আঃ হান্নান মাষ্টার, ওসমান গনি মাষ্টার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরিফ উল্লাহ সরকার, যুবলীগ নেতা মানিক মোল্লা, বিল্লাল মেম্বার,প্রমূখ।
আপনার মতামত লিখুন :