উপজেলার আলগী দক্ষিন ইউনিয়নের পূর্বচর কৃষ্ণপুর গ্রামের মরহুম মাওলানা আব্দুল মজিদ গাযীর ৫ ছেলের নামে এ মামলা দিয়েছে প্রতিপক্ষ।
হয়রানির শিকার মাওলানা হাফিজুর রহমান, ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা শফিকুর রহমান, মাওলানা মো. সিদ্দিকুর রহমান গাজীর অভিযোগ- গত ২৫ এপ্রিল তাদের পাশ্ববর্তী মাঝি বাড়ির লোকজন জোর পূর্বক তাদের জমিনে সীমানা নির্ধারন করতে চাইলে তাদের সাথে মাঝিদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোশারফ মাঝিদের হামলায় তাদের ৫ ভাই আহত হন। এসময় ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাবুবুর রহমান ফেরদৌসকে কুপিয়ে জখম করে মাঝি বাড়ির লোকজন। ঐ ঘটনায় মাওলানা হাফিজুর রহমান গাজী বাদী হয়ে গত ২৮ এপ্রিল হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ঐ মামলায় গত ৩০ এপ্রিল ১নং আসামী ব্যতীত সকল আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেন। ২ নং আসামী বিল্লাল হোসেন মাঝির জামিন না মঞ্জুর করে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেন। ঐ দিনই জামিনে আসা আসামীরা তাদেরকে আপোষ মিমাংসা করার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। তারা আইনের প্রতি বিশ্বাস রেখে তাদের কথায় রাজি হননি। তাই মাঝি বাড়ির লোকজন তাদেরকে অভিযুক্ত করার জন্য নতুন করে ফাঁদ তৈরী করেন।
বিল্লাল মাঝির চাচাতো বোন মোসাঃ শাহিনুর নামে এক মহিলাকে দিয়ে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে তার উপর হামলার ঘটনা সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান। জামিন না মঞ্জুর হওয়া ২নং আসামী বিল্লাল মাঝির ভগ্নীপতি মাহবুবুর রহমানকে বাদী করে তাদের ৫ ভাইকে আসামী করে গত ১ মে’ হাইমচর থানায় একটি মামলা করেন। ঐ মামলায় মরহুম মাওলানা আব্দুল মজিদ গাজীর পরিবার কঠিন ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
মাঝিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্যও গাজী পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন । তারা অভিযোগ করে বলেন, শুধু ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেই তারা ক্ষ্যান্ত হননি। এই গাজী পরিবারটি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে আল-আমিন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। এখন নতুন করে এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধেও তারা কঠিনভাবে ষড়যন্ত্র করে তার ভাবমূর্তি নস্ট করার জন্য পায়তারা করে বেড়াচ্ছেন।
হয়রানীর শিকার মাওলানা হাফিজুর রহমান জানান, আমার ভাই এ্যাডভোকেট মাহবুবুরব রহমান ফেরদৌসকে কুপিয়ে জখম করেছে মাঝি বাড়ির একদল সন্ত্রাসী। আমার ভাই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। সেই মামলায় ২নং আসামীকে আদালত জেল হাজতে প্রেরন করেছেন। ১ নং আসামী পলাতক রয়েছেন। ৪জন জামীনে এসে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে মামলা তুলে নেয়ার জন্য জোরপূর্বক বলপ্রয়োগ করছেন। আমরা মামলা তুলে না নেয়ায় তারা এখন আমাদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো বানোয়াট মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন। আমরা সেই মামলায় কঠিন ভাবে হয়রানীর শিকার হচ্ছি। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ মামলার সত্যতা যেন প্রকাশ পায়। আমাদের বিশ্বাস এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সত্যতা প্রকাশ পেলে আমরা হয়রানি থেকে মুক্তি পাব।
আপনার মতামত লিখুন :