প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে শিরোপা স্বপ্ন ধরে রাখল শেখ জামাল


chandpurnews24 প্রকাশের সময় : মে ৭, ২০২৩, ৭:৫৯ অপরাহ্ন /
প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে শিরোপা স্বপ্ন ধরে রাখল শেখ জামাল

খেলার তখনো ৪ বল বাকি। শেখ জামাল পেসার শহিদুলের স্লোয়ার ডেলিভারিক কভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে সীমানার ৫/৭ গজ আগে ক্যাচ দিলেন প্রাইম ব্যাংক অলরাউন্ডার শেখ মাহদি। ওই ক্যাচ ধরে আনন্দে লাফিয়ে উঠলেন অতিরিক্ত ফিল্ডার মারাজ মাহবুব নিলয়।

মাঠের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শেখ জামাল ফিল্ডাররা ছুটে আসলেন পিচের মাঝখানে। শুরু হলো উৎসব। এ উৎসব প্রাইম ব্যাংককে ১৩ রানে হারানোর। এ খুশির ফলগুধারা শিরোপা দৌড়ে নিজেদের ধরে রাখার।

রাউন্ড রবিন লিগে ১১ ম্যাচে একমাত্র মোহামেডানের কাছে হার মানা শেখ জামাল সুপার লিগের শুরুতে গাজী গ্রুপের কাছে হেরে পিছিয়ে পড়েছিল। কিন্তু আজ রোববার শেরে বাংলায় প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে জয়ে আবার কক্ষপথে ফিরলো নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল ।

লিগের ১১ খেলার সাথে সুপার লিগের তৃতীয় খেলায় ১২ নম্বর জয়ে শেখ জামালের পয়েন্ট দাঁড়ালো ২৪। এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা জিইয়ে থাকলো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। সোহানের দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং আবাহনীর সাথে শেষ দুই ম্যাচ জিতলে আগেরবারের মত এবারও প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে।

আজ এই জয়ের পর আবাহনীর পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ২৬। শেখ জামালের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি। শেষ দুই ম্যাচ জিতলে সোহানের দলের সংগ্রহ দাঁড়াবে আবাহনীর সমান ২৮। তখন শেখ জামাল কিভাবে চ্যাম্পিয়ন হবে?

প্রশ্ন উঠতেই পারে। এ প্রশ্নের উত্তর একটাই। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে সবার আগে ধরা হবে হেড টু হেড। যেহেতু রাউন্ড রবিন লিগে আবাহনীকে হারিয়েছে শেখ জামাল, সুপার লিগে আকাশী হলুদদের হারাতে পারলে ২ বারের পারস্পরিক মোকাবিলায় জয়ের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হবে শেখ জামাল।

আবাহনীর সাথে শেষ ম্যাচের আগে মাশরাফির লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাথেও জয় একান্তই দরকার সোহান বাহিনীর। এদিকে রোববার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেখ জামালকে লড়াকু পুঁজি গড়ে জয়ের পথে এগিয়ে দেন ওপেনার সাইফ হাসান ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

সাথে ওপেনার সৈকত আলী (২৯), ওয়ানডাউন ফজলে মাহমুদ ৩৬*, তাইবুর রহমান (৩০) ও জিয়া (২৭*) সহায়ক ভূমিকায় ছিলেন। তাদের সবার সন্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভারে ২৭৬ রানের লড়িয়ে পুজি পায় শেখ জামাল।

শেখ জামালের যেমন ওপেনার সাইফ আর মিডল অর্ডার অধিনায়ক সোহান জোড়া ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন, একইভাবে প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার সাহাদত হোসেন দিপু (৭৯ বলে ৬৬) আর তরুণ মিডল অর্ডার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলও (৯০ বলে ৭৫) দুটি ভাল ইনিংস খেলেছেন।

কিন্তু শেখ জামালের সৈকত আলী, ফজলে মাহমুদ, তাইবুর ও জিয়ার ভূমিকায় প্রাইম ব্যাংকের জাকির হাসান (৪), অধিনায়ক মিঠুন ( ০) , অভিজ্ঞ নাসির ( ৮) , আর অলক কাপালির (১৮) কেউ ঐ ভ‚মিকায় অবতীরর্ন হতে পারেননি। আল আমিন জুনিয়র (৪১ বলে ৩৬) ও শেখ মাহদি (২২ বলে ৩৫) চেষ্টা করে ম্যাচকে শেষ ওভারে নিয়ে গেলেও দল জেতাতে পারেননি। মূল পার্থক্যটা আসলে এখানেই গড়ে ওঠে।

শেখ জামাল: ২৭৬/৬ , ৫০ ওভার ( সাইফ হাসান ৮৩ ( ১০২ বলে) , সৈকত আলী ২৯, ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৩৬, নুরুল হাসান সোহান ৫৩, তাইবুর ৩০, জিয়া ২৭ নট আউট, কাশিফ ভাট ৩/২৩, শেখ মাহদি ১/৫৫, অলক কাপালি ১/৫১, রেজাউর রহমান রাজা ১/৫৬)

প্রাইম ব্যাংক: ২৬৩/১০, ৪৯.২ ওভার ( সাহাদাত হোসেন দিপু ৬৬, জাকির ৪, মিঠুন ০, প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ৭৫, নাসির ৮, আল আমিন ৩৬ , অলক কাপালি ১৮, কাশিফ ভাট ১০, শেখ মাহদি ৩৬, শফিকুল ৩/৪৪, সাইফ ২/২৬, পারভেজ রাসুল ২/৫৩) ।