আমরা সর্বস্বান্ত আমাদের ক্ষতির আর বাকি নাই। ধারদেনা করে ফসল করছি। কিছুদিন পর ধান ঘরে আনতাম, আর এখন সব ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন আমাগোর (আমাদের) সব স্বপ্ন পানিতে ডুবে গেছে। এভাবে হতাশা হয়ে কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা বাগাদি ইউনিয়নের কৃষক সোবহান হোসেন।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চাঁদপুরে আধপাকা রোপা আমন ধান, সরিষা ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেচ প্রকল্পসহ আশপাশের এলাকার বহু জমি এখন পানির নিচে। কৃষকরা চেষ্টা করছেন তাদের ধানগুলো পানি থেকে উদ্ধার করতে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির প্রভাবে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চাঁদপুরে রেকর্ড ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়। এছাড়া গাছ ও বিদ্যুতের তার ছিড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
বাগাদি ইউনিয়নের এক জেলে জহিরুল ইসলাম শেখ বলেন, এত বৃষ্টি হবে কৃষকরা বুঝতে পারেনি কিন্তু ভারি বৃষ্টি হয়ে সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাগো খোঁজখবর কেউ নেয় না। কিস্তির টাকা তুলে চাষ করেছি। আমার ২ একরের উপরের ধানের ক্ষতি হয়েছে। যা ধান আছে এগুলো কাজে আসবে না।
বাগাদি ইউনিয়ন পরিষদ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন গাজী বলেন, এই এলাকায় কৃষক কিছু ধান ঘরে তুলতে পেরেছে। দুর্যোগের ফলে মাঠে থাকা সব ধান ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষক পেরেশানির মধ্যে রয়েছে। সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিলে তারা কিছুটা উপকৃত হবে।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মেদ সিদ্দিকী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে রোপা আমন ১৯০ হেক্টর, সরিষা ১৪০ হেক্টর, আগাম শীতকালীন সবজি ২৭০ হেক্টর ও ধানের বীজতলা ১০ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :